ঢাকা: আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে সেবা ও সৌহার্দ্যের বর্ণিল ৫২ বছর। আর্তমানবতার সেবা, পরস্পর বন্ধুত্ব আর সুনাগরিকত্বের বার্তা নিয়ে দিনটিকে তারা সাজিয়েছে নানা আয়োজনে। এ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক আলোচনায় আমরা যে তৃপ্তি পাই, সেটা খুব কাজে আসে বলে মনে হয় না। সমাজকল্যাণের জন্য, সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমরা কথা বলি না। আমি যে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে মন্ত্রণালয় নিয়ে দেশ ও জাতির জন্য যে কাজ করে যেতে চাই, সেটা অনেকের প্রিয় না। তবুও আমি এ কাজ আনন্দের সঙ্গে করে যাই। সেবা সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশও এমনি করে সমাজের সেবা করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যাতো পুরো বাংলাদেশে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দল নিরপেক্ষ সরকার আসবে যাবে। অসহায় মানুষদের জন্য, সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরির জন্য যে কাজ আপনারা করে যাবেন, সেটা হবে চির অম্লান।’
এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এপেক্সিয়ান সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ আনন্দ অপরিসীম। যে কোনো সংগঠনের জন্য ৫২ বছর অতিক্রম করা যে কতটা গৌরবের, তা এখন বুঝতে পারছি। এ গৌরবের অংশীদার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব এপেক্সিয়ানরা। সেবার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই যুগ যুগ ধরে নিরলসভাবে কাজ করবে এপেক্স বাংলাদেশ।’
এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় যুব ও নাগরিকত্ব পরিচালক সাদেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের জাতীয় সহসভাপতি আসলাম হোসেন, সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আমিনুল হক, নিউজপোর্টাল বাংলামেইলের বার্তা সম্পাদক আহমেদ জুয়েল, সংগঠনের সাবেক জাতীয় সভাপতি এবং লাইফ গভর্নররা।
সারাদেশ থেকে আসা অর্ধ সহ¯্রাধিক এপেক্সিয়ানের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় ওয়েস্টিন। আনন্দমুখর আড্ডা, আলোচনা সভা, কেক কাটা আর মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন তারা। গান, কথা আর উচ্ছ্বল আনন্দে বরণ করে নেন দিনটিকে।
অনুষ্ঠানে আসা এপেক্স ক্লাব অব কুমিল্লার সভাপতি ডা. নিলুফার পারভীন অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘এপেক্স বাংলাদেশের ৫২ বছর পূর্তি একজন এপেক্সিয়ান হিসেবে আমাদের জন্য দারূণ আনন্দের। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থেকে আসা অনেক বন্ধুদের দেখা আর আনন্দে মেতে ওঠার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয় আয়োজন। শুরুর দিকে এপেক্স বাংলাদেশের প্রাক্তন জাতীয় নেতারা বাংলাদেশে এপেক্স আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন।
এসময় তারা বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সংগঠনটি আজ এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। মাত্র কয়েকটি ক্লাব থেকে সারাদেশে আজ প্রায় ১শ ক্লাবে বিস্তৃত হয়েছে এপেক্স বাংলাদেশ। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।
তারা আরও বলেন, এ দীর্ঘ সময়ে এপেক্স বাংলাদেশ এদেশের অসহায় মানুষদের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছে, তেমনি গড়ে তুলেছে দৃঢ় বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন। এ সেতুবন্ধনের মধ্য দিয়েই দেশ গড়ার কাজ করে যাবো আমরা।
এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সেক্রেটারি খোরশেদুল আলম অরুণ ও সাবেক এনওয়াইসিডি সৈয়দ নুরুর রহমানের পরিচালনায় চলে পুরো আয়োজন। আয়োজনের সাংস্কৃতিক পর্বটিও জমিয়ে তোলে প্রজন্মের শিল্পীরা।
এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলামেইল২৪ডটকম।